Tuesday, November 11, 2025

অবশেষে স্বপ্নপূরণ: প্রশংসার জোয়ারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান!

আরও পড়ুন

দীর্ঘদিনের অবহেলিত খাগড়াছড়ির কারিগর পাড়া ও রেজামনি পাড়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক বাসিন্দার জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। বিদ্যুৎ, রাস্তা ও বিশুদ্ধ পানির মতো মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই গ্রামের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নতুন মানবতাবাদী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের নির্দেশদাতা সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বর্তমানে ব্যাপক প্রশংসার কেন্দ্রে।

প্রায় তিন মাস আগে রেজামনি পাড়া আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে সেনাপ্রধান স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। গ্রামবাসীরা তাদের প্রধান সমস্যা হিসেবে রাস্তা, বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির অভাব তুলে ধরলে সেনাপ্রধান তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। বিশেষ করে শিশুরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হন।

আরও পড়ুনঃ  এনসিপিকে ১০টি আসন ছাড়তে রাজি বিএনপি

সেনাপ্রধানের নির্দেশে সোলার প্যানেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাজের প্রায় ৭০% সম্পন্ন হয়েছে। রাজলক্ষ্মী অ্যান্ড রাজ পিউ ইঞ্জিনিয়ারিং সল্যুশন প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪,০০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ হবে। এলাকায় ১,০০০ লিটারের দুটি এবং ২,০০০ লিটারের একটি ট্যাংকি স্থাপন করা হচ্ছে। এতে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিরাপদ পানি পাবেন, যা তাদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগের সবাই দেশপ্রেমিক দলকে ভোট দেবে: মির্জা আব্বাস

দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেনাবাহিনী কেবল সীমান্ত সুরক্ষা নয়, বরং সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখছে। পার্বত্য সীমান্তে সড়ক নির্মাণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে। এছাড়া বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সহায়তা এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

মেডিক্যাল ক্যাম্পে সেবা

১ নম্বর খাগড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্পে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। গত এক বছরে সেনাবাহিনী ১৯,৯১২ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে, যার মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১২,৫৫৪ জন এবং বাঙালি ৭,৩৫৮ জন অন্তর্ভুক্ত।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই দুই হেভিওয়েটের নাম

স্থানীয়রা সেনাবাহিনীকে শুধুমাত্র সীমান্ত রক্ষাকারী নয়, বরং দুর্গম অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এক অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিহিত করছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ