দীর্ঘ ১২ বছর পর আবারও নিলাম পদ্ধতিতে দল গঠনের ব্যবস্থায় ফিরছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আসন্ন আসরের নিলাম অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ২১ নভেম্বর। গত কয়েক মৌসুম ধরে বিপিএলে দলগুলো খেলোয়াড় বাছাই করেছিল ড্রাফট পদ্ধতির মাধ্যমে। তবে এবার পাঁচটি অংশগ্রহণকারী দলকে দেওয়া হচ্ছে নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ইতোমধ্যেই স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য নতুন নিলাম বিধি-বিধান নির্ধারণ করেছে। এবার খেলোয়াড়দের ছয়টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
‘এ’ ক্যাটাগরি: বেস প্রাইস ৫০ লাখ টাকা, প্রতিটি দল এখান থেকে একজন খেলোয়াড় নিতে পারবে।
‘বি’ ক্যাটাগরি: বেস প্রাইস ৩৫ লাখ টাকা, নিতে হবে দুইজন।
‘সি’ ক্যাটাগরি: বেস প্রাইস ২২ লাখ টাকা, এখান থেকেও তিনজন খেলোয়াড় নেওয়া বাধ্যতামূলক।
‘ডি’ ক্যাটাগরি: বেস প্রাইস ১৮ লাখ টাকা
‘ই’ ক্যাটাগরি: ১৪ লাখ টাকা
‘এফ’ ক্যাটাগরি: ১১ লাখ টাকা
উল্লেখ্য যে, সবশেষ তিনটি ক্যাটাগরি থেকে যথাক্রমে তিনজন, দুইজন ও দুইজন খেলোয়াড় নিতে হবে।
প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ১৬ জন স্থানীয় ক্রিকেটার দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট, যা দুইজন সরাসরি চুক্তিবদ্ধ (ডাইরেক্ট সাইন) খেলোয়াড়ের খরচ বাদে গণনা করা হবে।
প্রতিটি দলকে নিলাম থেকে কমপক্ষে ১৩ জন স্থানীয় খেলোয়াড় নিতে হবে। এছাড়া নিলামের আগে সর্বোচ্চ দুইজন স্থানীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করার সুযোগ থাকবে। নিলাম চলাকালীন প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য বিড শুরু হবে তার বেস প্রাইস থেকে এবং পরবর্তী বিড হবে নির্ধারিত ইনক্রিমেন্ট রেটে।
