Tuesday, November 11, 2025

যুবলীগ নেতা প্যানেল চেয়ারম্যান এক সপ্তাহ পর অব্যাহতি

আরও পড়ুন

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৫ নং সহনাটি ইউনিয়নের নবঘোষিত প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হারুন খানকে এক সপ্তাহের মাথায় তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। অবৈধ উপায়ে ও বিপুল টাকার বিনিময়ে যুবলীগ নেতা হারুন খানকে প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত করার অভিযোগ ওঠার পর জেলা প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিল।

গত ২৬ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হারুন খানকে প্যানেল চেয়ারম্যান ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তিনি ৫ নং সহনাটি ইউনিয়ন যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এবং গৌরীপুর উপজেলা যুবলীগের নেতা। এই ইউপির চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  শাপলা কলি, হ্যান্ডশেক ও কাঁচি পেল তিন দল

হারুন খানের নাম ঘোষণার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ফেসবুকে একটি গুরুতর অভিযোগ তোলেন। এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘১০ লাখ টাকার বিনিময়ে সম্পূর্ণ অবৈধ উপায়ে যুবলীগ নেতা গৌরীপুর উপজেলায় প্যানেল চেয়ারম্যান হলো। এর পেছনে কাদের হাত রয়েছে জাতি জানতে চায়।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা এবং স্থানীয় বিএনপির একটি গ্রুপ ১০ লাখ টাকা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে যুবলীগ নেতাকে প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত করতে সহযোগিতা করেছে।
প্যানেল চেয়ারম্যানকে অপসারণের পর মঞ্জু দাবি করেছেন, তিনি সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি পোস্ট করার পরপরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই আদেশে খুশি হলেও তিনি সমকালকে বলেন, অবৈধ উপায়ে নিয়োগের পেছনে যে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  জলবায়ু তহবিলের ৮৯১ প্রকল্পে ২১১০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি: টিআইবি

সূত্র জানায়, নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান হারুন খানের বিরুদ্ধে এর আগেও সহনাটি ইউনিয়নের ৯ জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত করার ঘটনায় বিতর্ক দেখা দেয়।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে হারুন খানকে বারবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, নিয়মিত চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে হারুন খানকে প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। অনিয়ম বা অর্থ লেনদেনের অভিযোগ যারা করেছেন এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক বিস্তারিত বলতে পারবেন। স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হারুন খানকে প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু একটি পক্ষ অনিয়মের অভিযোগ করায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ