Tuesday, November 11, 2025

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আরও পড়ুন

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে যদি পুলিশ কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করেছি আমরা। কারো কোনোরকম নেগলিজেন্স থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আগে জিডি করে রাখা হতো, শুধু কিন্তু এবার সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশের প্রতি আমার নির্দেশনা হচ্ছে, নির্বাচন হতে হবে, ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল এবং উৎসবমুখর। পুলিশের কেউ অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, বলেন উপদেষ্টা।

আরও পড়ুনঃ  বরিশালে ভোটের প্রচারে ভিন্ন কৌশল এগিয়ে জামায়াত, পিছিয়ে বিএনপি

নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীতে এখন সেই পাওয়ার আছে। নির্বাচন এলে বন্ধ হবে কিনা সে প্রশ্ন তখন করতে বলা হয়।

নির্বাচনের আগে পুলিশ রদবদল হবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের ম্যাক্সিমাম চেঞ্জ করার চেষ্টা করা হবে। প্রথমত, যারা তিনটি নির্বাচনের সঙ্গেই জড়িত ছিল, তাদের বাদ দেওয়া হবে। এরপর দেখা হবে যারা দুটির সঙ্গে জড়িত ছিল। যেহেতু নতুন লোক রিক্রুট করে নতুন ওসি নিয়ে আসা সম্ভব নয়, তাই লোকবলের একটি লিমিটেশন আছে। যদি কেউ একটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকে কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্ট না থাকে, তাকে হয়ত ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ৪৫ বাংলাদেশি গ্রেফতার, উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি

বিগত সরকারের সময়ে লুট হওয়া অস্ত্র এখনও পুরোপুরি উদ্ধার হয়নি। কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড ও অস্ত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে, এটা স্পর্শকাতর জায়গায় নিরাপত্তার দুর্বলতা প্রমাণ করে, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান হলেন একজন সিনিয়র সচিব। তিনি অলরেডি কয়েকটি (চার-পাঁচটি) দেশে চিঠি দিয়েছেন এবং দুই-একটি দেশ থেকে প্রতিনিধি চলে এসেছে। অস্ত্র চুরির বিষয়ে তদন্ত (ইনভেস্টিগেশন) চলছে এবং এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে কয়টি বা আদৌ কোনো হাতিয়ার চুরি হয়েছে কিনা। যদি চুরি হয়ে থাকে, তবে দায়ী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুনঃ  ধানের শীষের প্রাথমিক তালিকায় নেই যেসব ‘হেভিওয়েট’ বিএনপি নেতা

তিনি বলেন, চিটাগাংয়ের রাউজানে একটি অপারেশন চালিয়ে ১১টি হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ধরা হয়েছে। রাউজান এবং ফটিকছড়িকে ডিফিকাল্ট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, কারণ এই উপজেলাগুলো অর্ধেক পাহাড় এবং অর্ধেক সমতল এলাকা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ