মানিকগঞ্জ-৩ (সদর ও সাটুরিয়া) আসনে ভোটের মাঠে এখন সরব বিএনপি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থী আফরোজা খানম রিতা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রচার-প্রচারণায়।
বিভিন্ন ইউনিয়ন, হাটবাজার ও গ্রামীণ এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন তিনি। তার সাথে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রার্থীকে দোরগোড়ায় পেয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।
ভোটাররা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর আবারও নির্বাচনী উচ্ছ্বাস ফিরেছে এলাকায়। আর এ উচ্ছ্বাস আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
গতকাল (১০ নভেম্বর) সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নে টানা ৮ টি নির্বাচনী জনসভা ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। বেলা এগারোটা থেকে এই প্রচারণা চলে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত। জনসম্পৃক্ত এ সকল সভায় ভোটাররা প্রার্থীর সাথে কাছাকাছি মিশতে পেরে উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত।
৯৭ বছর বয়সি সদর মুন্সী। তার বাড়ি আলমনগর এলাকায় তিনি বলেন, আমাদের এই সীমান্তবর্তী এলাকায় এর আগে কোন সংসদ সদস্য প্রার্থী পা রাখেনি। আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ জিয়াউর রহমানের ধানের শীষ ভালবাসে–আমরা ধানের শীষেই ভোট দেই। আজ আমাদের ধানের শীষের প্রার্থীকে কাছ থেকে দেখে হৃদয় জুড়িয়ে গেছে। এখন আমরা শুধু ভোটই দেব না আমরা তার হয়ে ধানের শীষের জন্য কাজ করব।
আনোয়ারা (৪৪) নামের এক এনজিও কর্মী বলেন, আমরা নারী হিসেবে চাই একজন শিক্ষিত, পরিশ্রমী ও মানবিক প্রার্থী আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুন। রিতা আপা আমাদের মাঝে এসেছেন, আমাদের কথা শুনছেন এটাই বড় বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি তিনি নির্বাচিত হলে নারীদের উন্নয়নেও কাজ করবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রার্থী আফরোজা খানম রিতার মাঠে সক্রিয় উপস্থিতি বিএনপিকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে দলটির তৃণমূল পর্যায়ে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল, তা এখন কাটছে। রিতার প্রচারণা শুধু প্রার্থীর পরিচিতি বাড়াচ্ছে না, বরং বিএনপির কর্মীদের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করছে।
তিনি নারী প্রার্থী হওয়ায় নারী ভোটারদেরও অংশগ্রহণ বেড়েছে। নির্বাচনের আগে এ ধরনের গণসংযোগ ও জনসম্পৃক্ততা মানিকগঞ্জ-৩ আসনে ভোটের মাঠে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনবে।
