ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও পশ্চিমা গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে শেখ হাসিনার আরও কিছু “ইমেইল সাক্ষাৎকার” প্রকাশিত হবে, যা পশ্চিমা গণমাধ্যম ও ভারতীয় সহযোগীরা প্রচার করবে। তবে এসব সাক্ষাৎকারের কোনো গুরুত্ব নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম দাবি করেন, এই সাক্ষাৎকারগুলো পেশাদার পিআর (জনসংযোগ) এজেন্সির মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য একজন বিতর্কিত নেত্রীকে মানবিক রূপে উপস্থাপন করা। তিনি লেখেন, “এসব সাক্ষাৎকারে যা লেখা থাকবে, তার সবই সাজানো এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বর্ণনা প্রচার করা হচ্ছে।”
তিনি আরও লেখেন, ইতিহাসে অনেক স্বৈরশাসকই নির্বাসনে গিয়ে নীরব থেকেছেন, কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন— কারণ তার হাতে রয়েছে বিপুল অর্থ ও আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ। তার মতে, সেই আর্থিক সক্ষমতার কারণেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ধারাবাহিক প্রচারণা চালানো সম্ভব হচ্ছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক রাজনীতিতে জনসংযোগ সংস্থা ও আইনজীবী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় নেতাদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করা নতুন কিছু নয়। অতীতেও অনেক বিতর্কিত রাজনীতিক এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
