ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (সরাইল-আশুগঞ্জ)-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা না হওয়ায় জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা ও গুঞ্জন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সব জায়গাতেই এখন এ আসন নিয়ে রাজনৈতিক গুঞ্জন যেন থামছেই না। ঝুলে আছে রুমিন ফারহানার মনোনয়ন টিকিট।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গতকাল সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।
এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়ন না পাওয়া নিয়ে চলছে গুঞ্জন। ধারণা করা হচ্ছে, এই আসনে ২০-দলীয় জোট থেকে মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবিবই শেষ পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হতে পারেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর জোটের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। ধানের শীষের মনোনয়নের শেষ পেরেকটা তিনিই টুকবেন।
কিছুদিন আগে গণমাধ্যম কে মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবিব স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ধানের শীষ থেকেই আমি হবো সরাইল-আশুগঞ্জ আসনের প্রার্থী। রুমিন নয়। এরপর থেকেই জুনায়েদ আল হাবীবের নির্বাচনী প্রচারণার মাত্রা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা গত কয়েক মাসে সরাইল ও আশুগঞ্জে ব্যাপক গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও মতবিনিময় করেছেন। নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি সক্রিয় ছিলেন মাঠে। জানা গেছে, এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় ১০ জন।
বর্তমান নির্বাচনী পরিবেশ, মনোনয়নের টিকিট, দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালে রুমিন ফারহানার মনোনয়ন পাওয়া এখন অনেকটাই অনিশ্চিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
অন্যদিকে, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবিবও এলাকায় নিয়মিত সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের ধারণা, বিএনপি জোটগত সমন্বয়ের অংশ হিসেবেই (সরাইল-আশুগঞ্জ)-২ আসনে জোটের প্রার্থী মনোনয়ন পেতে পারেন জুনায়েদ আল-হাবিব। তবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানান, ধাপে ধাপে বাকি আসনগুলোতেও প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
