সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো তৈরির কাজ এগিয়ে নিচ্ছে পে কমিশন। সমিতি ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় পর্ব শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তবে নতুন পে স্কেল ঘোষণা কবে হবে—এ বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে দুই হাজারের বেশি সংগঠন তাদের মতামত দিয়েছে। যাচাই–বাছাই শেষে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেছে কমিশন। এই মতামতগুলো বিশ্লেষণ করে এখন সুপারিশের খসড়া তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এরপর সব সদস্যের সম্মতিতে তা চূড়ান্ত করে সরকারে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান সরকার বলেন, “অনলাইনে মতামত সংগ্রহ শেষ হয়েছে ১৫ অক্টোবর। সমিতিগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ও ৩০ অক্টোবর শেষ হয়েছে। এখন আমরা বসে চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরির কাজ করব।”
তিনি আরও জানান, কমিশন গঠনের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৬ মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই কোনো নির্দিষ্ট তারিখ না থাকলেও যত দ্রুত সম্ভব নতুন পে স্কেল ঘোষণা করার লক্ষ্যেই কাজ চলছে।
কমিশনের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, এবার পে কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৈষম্য কমানো। এজন্য বিদ্যমান গ্রেড কাঠামো পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের ভাষায়, “গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে বৈষম্য হ্রাস করা হবে—এটি নিশ্চিত। তবে ঠিক কতটি গ্রেড থাকবে এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত কী হবে, তা সুপারিশ চূড়ান্ত হলে জানা যাবে।”
