আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। গতকাল রোববার সকালে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে থেকে প্রকাশিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ফেসবুক পেজে নির্বাচনী প্রচারের ঘোষণার পাশাপাশি একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ড. খান সুবায়েল বিন রফিক সবাইকে এ প্রচারে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি এটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করেন।
বার্তা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমরা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে যাব। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ তাদের দেশের মালিকানা পুনরায় ফিরে পাবেন।
ভিডিওর শুরুতে স্ক্রিনে দেখানো হয়, ‘আওয়ামী ক্ষমতার উৎস।’ এরপর স্থান পায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বহুল আলোচিত একটি বক্তব্য। যেখানে তিনি বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে যেটি বলেছি যে, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করার, আমি ভারতবর্ষ সরকারকে সেটা অনুরোধ করেছি।’
এরপর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন খান সুবায়েল বিন রফিককে সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে দেখা যায়, সব অতীত অধ্যায়কে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আজ তার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে। কারণ, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আপনাদের দেশের মালিকানা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বাচন ২০২৬- দেশের চাবি আপনার হাতে। আপনার ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিন, আপনি কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান। ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিওটি ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান দিয়ে শেষ হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। তা ছাড়া তিন বাহিনীপ্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে নির্বাচনের জন্য বাহিনীর নেওয়া সব প্রস্তুতি সম্পর্কে জানান।
